ইকোইট সম্পর্কে

আমাদের চিন্তা ও ইকোইটের যাত্রা

দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশে স্থাপনা নির্মানের ক্ষেত্রে এখনো আমরা ব্যবহার করছি শত শতাব্দী প্রাচীন পোড়া মাটির ইট, এক সময় জনসংখ্যার চাপ কম থাকায় পোড়ামাটির ইটে স্থাপনা নির্মান প্রকৃতির তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না করলেও – এখন জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেড়েছে স্থাপনা নির্মানের চাহিদাও – এটি এখন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে চলেছে আমাদের ইকো সিস্টেম। গ্রীন হাউজ এফেক্ট সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশী অবগত থাকলেও নিজেদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের নানাবিধ সিদ্ধান্ত কি করে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন করে নিয়ে আসে ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছাস সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা খুব একটা কাজ করে না। 

এই বিষয়ে আমাদের প্রাথমিক জরিপ থেকে জানা যায় সিলেটের শতকড়া ৯০ ভাগ মানুষ পোড়ামাটির ইটের এই ধংস্বাত্মক রুপ সম্পর্কে অবগত নয়। এখান থেকেই পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের চিন্তা নিয়ে শুরু হয় ইকোইটের যাত্রা।

পরিকল্পনা

পোড়ামাটির ইটের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ব্লক ইট মানুষের হাতের নাগালে পৌছে দেয়া, এবং একই সাথে নির্মানব্যায় কমিয়ে দ্রুততম সময়ে বাড়ি নির্মানের কৌশল উদ্ভাবন/বাস্তবায়ন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গ্রাম শহর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশগ্রহন করা।

বাস্তবায়ন

ইতিমধ্যেই আমরা সিলেটের শহরতলি হরিপুরে প্রায় তিন একর জায়গায় আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে দৈনিক ১৭ থেকে ২০ হাজার ব্লক ইট উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে সিলেট বিভাগে নিরবিচ্ছিন্ন বাজারজাত করে আসছি।  
একই সাথে আমরা কম খরচে গৃহ নির্মান কাজ করে যাচ্ছি।